আপনি কি ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নের সমাধান খুঁজছেন? ষষ্ঠ (৬ষ্ঠ) শ্রেণির বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ তৃতীয় (৩য় সপ্তাহ)। ৬ষ্ঠ শ্রেণীর বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট সমাধান 2022 তৃতীয় সপ্তাহের সমাধান তবে আমি বলব যে আপনি সঠিক জায়গায় আছেন। ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২২ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আপনাদের প্রথম সপ্তাহের বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে। Class 6 Bangla assignment 3rd week 2022।
ষষ্ঠ (৬ষ্ঠ) শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২। Class Six (06) Assignment 2022. ষষ্ঠ শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২ প্রথম সপ্তাহের জন্য। বর্তমানে দেশের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী বর্তমানে ইন্টারনেটের ষষ্ঠ শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট সলিউশন ২০২২ পাওয়ার জন্য অনুসন্ধান করছে। Class 06 (Six) Assignment Solution 2022.
এই ওয়েব সাইটের অ্যাসাইনমেন্ট সমূহ অভিজ্ঞদের দ্বারা তৈরি করা। কেউ যদি এখান হতে কন্টেন্ট কপি করে অন্য কোথাও প্রকাশ করেন তাহলে গুগল কপিরাইট নিয়ম অনুসারে DMCA লিগ্যাল অ্যাকশন নেওয়া হবে।
ষষ্ঠ শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে এইখানে দেখুন
বিভিন্ন সপ্তাহে ষষ্ঠ শ্রেণির বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞানদেশ শিক্ষা অধিদপ্তর দ্বারা প্রকাশিত হচ্ছে । তাই সকল অ্যাসাইনমেন্ট একত্রে পাওয়া দুষ্কর। তাই সারগো এডুকেশন ষষ্ঠ শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে প্রকাশ করছে। আর তাই ষষ্ঠ শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে এইখানে দেখুন।
বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট প্রশ্ন ৩য় সপ্তাহঃ

এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ
চিহ্নিত চিত্র সহ জীব কোষের গঠন
৬ষ্ঠ শ্রেনি ৩য় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২
৬ষ্ঠ শ্রেনি ৩য় সপ্তাহের বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর এখান থেকে শুরু
উদ্ভিদ কোষের চিহ্নিত চিত্র আঁক

উদ্ভিদ ও প্রানি কোষের অঙ্গানু
আদর্শ উদ্ভিদ কোষ অঙ্গানু
- নিউক্লিয়াস
- নিউক্লিওলাস (নিউক্লিয়াসের ভিতরে)
- অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা
- মসৃণ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা
- রাইবোজোম
- সাইটোকঙ্কাল
- গলগি বস্তু
- সাইটোপ্লাজম
- মাইটোকন্ড্রিয়া
- ভেসিক্ল
- ক্লোরোপ্লাস্ট এবং অন্যান্য প্লাস্টিড
- ক্রন্দ্রীয় গহ্বর
- টনোপ্লাস্ট (কেন্দ্রীয় গহ্বরের ঝিল্লি)
- পারঅক্সিজোম (e.g. গ্লায়োক্সিজোম)
- কোষ গহ্বর
আদর্শ প্রাণী কোষ অঙ্গাণু
- নিউক্লিয়াস
- নিউক্লিওলাস (নিউক্লিয়াসের ভিতরে)
- অমসৃণ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা
- মসৃণ এন্ডোপ্লাজমীয় জালিকা
- রাইবোজোম
- সাইটোকঙ্কাল
- গলগি বস্তু
- সাইটোপ্লাজম
- মাইটোকন্ড্রিয়া
- ভেসিক্ল
- লাইসোজোম
- সেন্ট্রোজোম
- সেন্ট্রিওল
- কোষ গহ্বর
নিউক্লিয়াস মডেল তৈরি

নিউক্লিয়াস : প্রকৃত কোষে যে অঙ্গাণু দ্বিস্তরবিশিষ্ট আবরণী বেষ্টিত অবস্থায় প্রোটোপ্লাজমিক রস ও ক্লোমাটিন জালিকা ধারণ করে তাকে নিউক্লিয়াস বলে। রবার্ট ব্রাউন ১৮৩১ সালে অর্কিড পত্রকোষে নিউক্লিয়াস আবিষ্কার ও নামকরণ করেন।
আকৃতি : নিউক্লিয়াস সাধারণত বৃত্তাকার হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে উপবৃত্তাকার, ফিউজিফরম (মূলাকার), প্যাঁচানো থালার মতো এবং শাখান্বিতও হতে পারে।
ভৌত গঠন : নিুলিখিত চারটি অংশ নিয়ে একটি নিউক্লিয়াস গঠিত হয়- (i) নিউক্লিয়ার মেমব্রেন, (ii) নিউক্লিয়োপ্লাজম, (iii) নিউক্লিয়োলাস এবং (iv) নিউক্লিয়ার রেটিকুলাম বা ক্লোমাটিন জালিকা।
(i) নিউক্লিয়ার মেমব্রেন : নিউক্লিয়াসের স্বচ্ছ ঝিল্লিবৎ বহিরাবরণীকে নিউক্লিয়ার মেমব্রেন বলে। এ ঝিল্লি দু’স্তরবিশিষ্ট। বাইরের স্তরটি ছিদ্রযুক্ত এবং ভেতরের স্তরটি ছিদ্রবিহীন। প্রতিটি ছিদ্র সংকোচন-প্রসারণ ক্ষমতাপ্রাপ্ত।
(ii) নিউক্লিয়োপ্লাজম : নিউক্লিয়ার মেমব্রেন দ্বারা আবৃত স্বচ্ছ, ঘন ও দানাদার তরল পদার্থই নিউক্লিয়োপ্লাজম। এটি নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরস্থ প্রোটোপ্লাজমিক রস। প্রোটোপ্লাজমের বৈশিষ্ট্যসমূহ এতে বিদ্যমান। নিউক্লিয়োলাস এং ক্লোমোসোম এতে অবস্থান করে।
(iii) নিউক্লিয়োলাস : নিউক্লিয়াসে যে ছোট ও অধিকতর ঘন গোলাকার বস্তু দেখা যায় তাই নিউক্লিয়োলাস। বিজ্ঞানী ফন্টানা ১৭৮১ সালে সর্বপ্রথম নিউক্লিয়াসের অভ্যন্তরে এটি দেখতে পান এবং ১৮৪০ সালে বোম্যান এর নামকরণ করেন।
(iv) নিউক্লিয়ার রেটিকুলাম বা ক্লোমাটিন তন্তু: কোষের বিশ্রাম অবস্থায় (অ-বিভাজন অবস্থায়) নিউক্লিয়াসের ভেতরে জালিকার আকারে কিছু তন্তু দেখা যায়। তন্তুঘটিত এই জালিকাকে নিউক্লিয়ার রেটিকুলাম বা ক্রোমাটিন তন্তু বলা হয়। নিউক্লিয়াসের বিভাজনরত অবস্থায় বা পর্যায়ে মধ্যক অবস্থায় যে অংশ বা বস্তু ফুলজিন রঙ নেয় সেই বস্তুকে বলা হয় ক্রোমাটিন।
মাইটোকন্ড্রিয়া
মাইটোকন্ড্রিয়ার আবিষ্কার নিয়ে মতভেদ আছে। একটি মতে, বিজ্ঞানী অল্টম্যান ১৮৯৪ সালে ইহা আবিষ্কার করেন। আবার কারও মতে, গ্রিক বিজ্ঞানী সি. বেন্ডা ১৮৯৮ সালে মাইটোকন্ড্রিয়া আবিষ্কার করেন।আবার আরেক মতে Albert von kolliker(কলিকার) ১৮৫০ সালে আবিষ্কার করেন।] এন্ডোসিম্বায়োটিক থিওরী অনুযায়ী মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড বহু আগে মুক্তজীবি ব্যাক্টেরিয়া ছিল। যারা এন্ডোসিম্বায়োন্ট হিসেবে অন্য কোষের মধ্যে ঢুকে পরে এবং একসময় কোষেরই অংশ হয়ে যায়। বিজ্ঞানীদের ধারণা, মাইটোকন্ড্রিয়া এসেছে প্রোটিওব্যাক্টেরিয়া থেকে এবং প্লাস্টিড এসেছে সায়ানোব্যাক্টেরিয়া থেকে! এর জন্য বিজ্ঞানীরা অনেক প্রমাণ দাড় করিয়েছেন। এগুলো থেকে বুঝা যায় বুঝা যায় যে মাইটোকন্ড্রিয়া এবং প্লাস্টিড ব্যাক্টেরিয়া থেকে এসেছে। এর মধ্যে কয়েকটা এরকমঃ
- ১) ব্যাক্টেরিয়ার মেমব্রেনের সাথে এই অঙ্গানুগুলোর মেমব্রেনের অনেক মিল রয়েছে।
- ২) নতুন মাইটোকন্ড্রিয়া অথবা প্লাস্টিড যেই প্রকৃয়ায় আসে, ব্যাক্টেরিয়ার ক্ষেত্রেও এমন ঘটে যাকে বলে বাইনারি ফিশন। এটা এক ধরনের অযৌন প্রজনন।
- ৩) এরা যে ধরনের রাইবোজম(70S) বহন করে, ব্যাক্টেরিয়াতেও তা রয়েছে।
- ৪) ব্যাক্টেরিয়ার বাহিরের মেমব্রেনে ‘পোরিন’ নামের এক ধরনের ট্রান্সপোর্ট প্রোটিন পাওয়া যায়, যা মাইটোকন্ড্রিয়া এবং প্লাস্টিডের বাহিরের মেমব্রেনেও রয়েছে।
- ৫) যদি কোষের থেকে মাইটোকন্ড্রিয়া অথবা ক্লোরোপ্লাস্ট সরিয়ে ফেলা হয়, কোষের ভেতর তারা আবার তৈরি হয়না।
- ৬) তবে সবচেয়ে আকর্ষনীয় যেটা তা হল ডিএনএ। মাইটোকন্ড্রিয়া এবং প্লাস্টিড উভয়েরই নিজস্ব ডিএনএ রয়েছে যা সংস্লিষ্ট ব্যাক্টেরিয়ার সাথে তুলনা করলে বিশাল মিল পাওয়া যায়।