আপনি কি সপ্তম (৭ম) শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ প্রশ্নের সমাধান খুঁজছেন? তবে আমি বলব যে আপনি সঠিক জায়গায় আছেন। ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে আপনাদের দ্বিতীয় সপ্তাহের সপ্তম (৭ম) শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট প্রকাশ করেছে।
সুতরাং এখনই আপনাদের এসাইনমেন্ট তৈরি করা শুরু করে দেওয়া উচিত। সপ্তম (৭ম) শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সমাধান ও সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট দেখুন। সপ্তম শ্রেণির সাধারন গনিত এসাইনমেন্ট সমাধান ডাউনলোড করুন। সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ দেখে নিন। সপ্তম শ্রেণির এসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ২০২২ দেখুন।
সপ্তম শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে এইখানে দেখুন
বিভিন্ন সপ্তাহে সপ্তম শ্রেণির বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ শিক্ষা অধিদপ্তর দ্বারা প্রকাশিত হচ্ছে । তাই সকল অ্যাসাইনমেন্ট একত্রে পাওয়া দুষ্কর। তাই সারগো এডুকেশন সপ্তম শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে প্রকাশ করছে। আর তাই সপ্তম শ্রেণির সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট ২০২২ একত্রে এইখানে দেখুন।
সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নের উত্তর ২০২২ (২য় সপ্তাহ)
প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে নির্দিষ্টসংখ্যক প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে হবে। এবং অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হবে। তাই আপনাদের জন্য সপ্তম শ্রেণীর দ্বিতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এখানে দেওয়া হয়েছে।
এসাইনমেন্ট শিরোনামঃ
রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহ (১৯৫২-১৯৭০) ভাষা আন্দোলন হতে ১৯৭০ এর নির্বাচন পর্যন্ত ঘটনা প্রবাহের গুরুত্ব বিশ্লেষণ
এসাইনমেন্টের উত্তর এখান থেকে শুরুঃ…….
ক) ছক তৈরিপূর্বক ১৯৫২-১৯৭০ সাল পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাক্রম করে রাজনৈতিক সময় উল্লেখ ধারাবাহিকভাবে লিখবে
সাল | রাজনৈতিক ঘটনাক্রম |
১৯৫২ | ভাষা আন্দোলন |
১৯৫৪ | যুক্তফ্রন্ট গঠন |
১৯৬৬ | ছয় দফা |
১৯৬৯ | গণ অভ্যুত্থান |
১৯৭০ | নির্বাচন |
খ) ছক থেকে যেকোনো একটি ঘটনা নির্বাচন করে তার ধারাবাহিক বর্ণনা
১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম পাকিস্তানের লাহোরে সকল বিরোধী দলের এক কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। ঐ কনভেনশনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ৬-দফা কর্মসূচি উত্থাপন করেন। ৬-দফা কর্মসূচি সংক্ষেপে নিম্নরুপ:
৬ দফাগুলো হল-
দফা-১ : লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তান হবে একটি ফেডারেশন বা যুক্তরাষ্ট্র। সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে প্রত্যক্ষভাবে নির্বাচিত আইন পরিষদের প্রাধান্যসহ সংসদীয় পদ্ধতির সরকার গঠনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
দফা-২ : বৈদেশিক সম্পর্ক ও প্রতিরক্ষা ছাড়া সকল বিষয় অঙ্গরাষ্ট্র বা প্রদেশের হাতে ন্যস্তথাকবে। উল্লেখিত দুটি বিষয় ন্যস্তথাকবে কেন্দ্রীয় বা যুক্তরাষ্ট্রীয় সরকারের হাতে।
দফা-৩ : পাকিস্তানের দুটি অঞ্চলের জন্য পৃথক অথচ অবাধে বিনিময়যোগ্য মুদ্রাব্যবস্থার প্রবর্তন করতে হবে। অথবা সমগ্র দেশে একটি মুদ্রা ব্যবস্থা থাকবে, তবে সেক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে মূলধন পাচার রোধের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য একটি ফেডারেল ব্যাংকের অধীনে কার্যকরী ব্যবস্থা থাকতে হবে।
দফা-৪ : অঙ্গরাষ্ট্র বা প্রদেশগুলোর কর বা শুল্ক ধার্য করার ক্ষমতা থাকবে। তবে ব্যয় নির্বাহের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এর একটি অংশ পাবে।
দফা-৫ : পাকিস্তানের দুই অঞ্চলের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পৃথক হিসাব রাখা হবে। অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা স্ব স্ব অঞ্চলের বা অঙ্গরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে থাকবে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের বৈদেশিক নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আঞ্চলিক সরকার বিদেশে বাণিজ্য প্রতিনিধি প্রেরণ এবং যে কোন চুক্তি সম্পাদন করতে পারবে।
দফা-৬ : নিজস্ব নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অঙ্গরাষ্ট্রগুলো প্যারা মিলিশিয়া বা আধা সামরিক বাহিনী গড়ে তুলতে পারবে এবং নৌ সদর দফতর পূর্ব পাকিস্তানের চট্টগ্রামে স্থাপন করতে হবে।
গ) আমাদের জাতীয় জীবনে উক্ত ঘটনাটির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে হবে।
লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলের কনভেনশনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ৬-দফা কর্মসূচি উত্থাপন করেন কিন্তু উক্ত কনভেনশনে তা গৃহীত হয়নি। এধরনের একটি পরিস্থিতির মুখোমুখি যে বঙ্গবন্ধুকে হতে হবে তা তিনি পূর্বেই আঁচ করতে পেরেছিলেন। আওয়ামী লীগের এ কর্মসূচি মূখ্যত পাকিস্তানি শাসন- শোষণ ও বঞ্চনার মূলে কুঠারাঘাত হানে। লাহোর কনভেনশনে উত্থাপিত ৬-দফা কর্মসূচিকে বঙ্গবন্ধু ‘আমাদের (বাঙালির) বাঁচার দাবী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তা নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের কাছে হাজির হন। এরই মাঝে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল (মার্চ, ১৯৬৬) ডেকে বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু ৬-দফা কর্মসূচি অনুমোদন করিয়ে নেন। উক্ত কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
বাঙালির জাতিয়তাবাদের বিকাশ :
১৯৬৬ সালের মধ্য ফেব্রুয়ারি (লাহোর কনভেনশনের অব্যবহিত পরে) থেকে ৬-দফা কর্মসূচির অনুকূলে গণসমর্থন আদায়ের জন্যে কর্মতৎপরতা শুরু হয়। তিন মাসব্যাপী একটানা গণসংযোগ অভিযান চলে। পাকিস্তান নিরাপত্তা আইনে বঙ্গবন্ধুকে বার বার গ্রেফতার করা হয়; কখনো সিলেটে, কখনো ময়মনসিংহে, কখনো ঢাকায় আবার কখনো বা নারায়ণগঞ্জে।
শোষনের থেকে মুক্তি :
১৯৬৬ সালে ৬-দফা আন্দোলনে প্রথম তিন মাসেই বঙ্গবন্ধু বেশ কয়েকবার গ্রেফতার হন। একই বছরের ৭ জুন ৬- দফার প্রতি সমর্থন এবং বঙ্গবন্ধুসহ গ্রেফতারকৃত অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে আওয়ামী লীগের ডাকে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। ধর্মঘট পালনকালীন সময়ে পুলিশের গুলিতে ঢাকা, টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জে ১৩ ব্যক্তি নিহত হয়। এভাবে পশ্চিম পাকিস্তানী আইয়ুব সরকারের জেল-জুলুম হত্যা-নির্যাতন ৬-দফা আন্দোলনে বৈপ্লবিক রূপান্তর ঘটায়।
স্বাধিকার আন্দোলন :
পাকিস্তানের শাসন আমলে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিদের মধ্যে যে স্বাধিকার বোধ জন্ম নেয়, সেই পটভূমিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে লাহোর কনভেনশনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ঐতিহাসিক ৬-দফা দাবি উত্থাপন করেন। আইয়ুব সরকারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া ছিল অত্যন্তকঠোর। জেনারেল আইয়ুব ৬-দফাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী’, ‘বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী’, ‘ধ্বংসাত্মক’, ‘বৃহত্তর বাংলা প্রতিষ্ঠা’-র কর্মসূচি বলে আখ্যায়িত করেন এবং এ কর্মসূচির প্রবক্তা বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানের ‘এক নম্বর দুশমন’ হিসেবে চিহ্নিত করে ৬-দফা পন্থীদের দমনে ‘অস্ত্রের ভাষা’ প্রয়োগের হুমকি দেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ এবং এর কর্ণধার বঙ্গবন্ধু আইয়ুব সরকারের হুমকিতে দমে যাবার পাত্র ছিলেন না। এ কর্মসূচি সমগ্র বাঙালির চেতনামূলে বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতার কথা বলা হয় নি বটে তবে ৬-দফা বাঙালিদের স্বাধীনতার মন্ত্রেদীক্ষিত করে তোলে। যে কারণে এটি স¤ভব হয়েছে তা হলো এর ভেতরে বাঙালির জাতীয় মুক্তির বীজ নিহিত ছিল। এক কথায় বলা যায়, ৬-দফা ছিল বাঙালির জাতীয় মুক্তির সনদ। ৬-দফা কেন্দ্রিক আন্দোলনের পথ ধরেই জন্ম নিয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
রাজনৈতিক বিজয় :
১৯৬৬ সালের ৫-৬ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলের কনভেনশনে আওয়ামী লীগ প্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঐতিহাসিক ৬-দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। পাকিস্তানকে একটি ফেডারেল বা যুক্তরাষ্ট্রে পরিণত করা, বৈদেশিক সম্পর্ক ও প্রতিরক্ষা ছাড়া বাকি সকল ক্ষমতা প্রদেশের হাতে ন্যস্ত, পাকিস্তানের দুই অঞ্চলের জন্য পৃথক মুদ্রাব্যবস্থা প্রবর্তন, অঙ্গরাষ্ট্রের কর বা শুল্ক ধার্য করার ক্ষমতা, বিদেশের সঙ্গে আঞ্চলিক সরকারের বাণিজ্য চুক্তি করার ক্ষমতা এবং পূর্ব পাকিস্তানের জন্য আধা সামরিক বাহিনী গড়ে তোলা ছিল ৬-দফা কর্মসূচির মূল বক্তব্য। এ কর্মসূচি ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের উপর চরম দমন পীড়ন-নির্যাতন নেমে আসে। বঙ্গবন্ধুকে বার পর গ্রেপ্তার বরণ করতে হয়। ৬-দফা ছিল বাঙালিদের জাতীয় মুক্তির সনদ। তাই, আইয়ুব সরকারের নির্যাতন সত্যেও একে কেন্দ্র করে বাঙালি জাতিসত্তার উত্থান ঘটে। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ৬-দফা কর্মসূচির গুরুত্ব অপরিসীম।
এসাইনমেন্টের উত্তর এখানে শেষ…….
বিশেষ সতর্কতা: উপরোক্ত নমুনা উত্তরগুলো দেওয়ার একমাত্র উদ্দেশ্য হল, শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত বিষয়ের উপর ধারণা দেওয়া। ধারণা নেওয়ার পর অবশ্যই নিজের মত করে এসাইনমেন্ট লিখতে হবে। উল্লেখ্য যে, হুবহু লেখার কারণে আপনার উত্তর পত্রটি বাতিল হতে পারে। এ সংক্রান্ত কোন দায়ভার সারগো আইটি-এর নয়।