দেশের বাইরে থেকে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষ দেশে আসেন। তাদের সবাই কম-বেশি হ্যান্ডসেট নিয়ে আসেন। সেই সেটগুলো নিবন্ধন করতে গ্রাহকরা বিড়ম্বনায় পড়ছিলেন। সরকার মনে করেছে, আপাতত কোনো সেট বন্ধ করা সমীচীন হবে না। তাই আপাতত দেশের বাইরে থেকে আনা বা অবৈধ উপায়ে আসা কোনো হ্যান্ডসেট বন্ধ হচ্ছে না।
অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার। ফলে আপাতত কোনো অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধ হচ্ছে না। দেশের বাজারে অবৈধভাবে মোবাইল ফোনের আমদানি বন্ধ, মোবাইল চুরি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সরকারের রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর)’ প্রযুক্তি চালু করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
গত ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে চলেছে এই প্রযুক্তির কার্যক্রম। বিটিআরসি জানিয়েছিল, ১ অক্টোবর থেকে দেশের নেটওয়ার্কে নতুন করে আর কোনো অবৈধ মোবাইল ফোন সচল হবে না। সে লক্ষ্যে বেশকিছু অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধ করা হয়েছিল। তবে দেশের বাইরে থেকে নিয়ে আসা হ্যান্ডসেট নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন প্রবাসী ও বিদেশ ফেরতরা। সেই ভোগান্তি কমাতেই অবৈধ হ্যান্ডসেট বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে সরকার।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমি আগেই বলেছিলাম গ্রাহকদের ভোগান্তি হলে এটা করা হবে না। এখন যে সমস্যাটা হয়েছে, কোন সেট বৈধ বা অবৈধ তা নির্ধারণ করার দায়িত্ব জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)। তাত্ক্ষণিভাবে হ্যান্ডসেট বন্ধ করে দেওয়ার কারণে গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়ছে। তাই আপাতত মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে এসেছে।
তবে এনইআইআর সিস্টেম চালু আছে। এর মাধ্যমে ডাটাবেজ তৈরি হচ্ছে। আমাদের মূল লক্ষ্যই ছিল একটি ডাটাবেজ তৈরি করা। বিটিআরসির কমিশনার প্রকৌশলী এ কে এম শহীদুজ্জামান বলেন, আমাদের এনইআইআর সিস্টেম চালু আছে। সেখানে রেজিস্ট্রেশন করা যাচ্ছে। দেশ থেকে কেনা সব হ্যান্ডসেটই অটোরেজিস্ট্রেশন হয়ে যাচ্ছে।
আপাতত কোনো ফোন বন্ধ হচ্ছে না। সিম দিয়ে অন করলেই চালু হবে। তিনি আরো বলেন, অবৈধ উপায়ে আসা হ্যান্ডেসেটগুলো কীভাবে ভ্যাট-ট্যাক্স নিবন্ধনের আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে পর্যালোচনা চলছে। এনবিআর ও অর্থ মন্ত্রণালয় এ নিয়ে কাজ করছে।